Clever Learner

ফ্রিল্যান্সিং ফ্রিল্যান্সিং কি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করে

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন স্কিল শিখে Dynamic হবেন

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন স্কিল শিখে Dynamic হবেন

বর্তমানে চাকরির বাজারে, ফ্রিল্যান্সিং একটি কার্যকর এবং আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার অপশন হিসেবে উঠে এসেছে। নিজের কাজ নিজে বেঁছে নেয়ার সুবিধা, ওয়ার্ক ফ্রম হোম এবং নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করা ।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে সফল হতে চান ?

 ফ্রিল্যান্সিং মানুষের জন্য তাদের ক্যারিয়ার নিজের সুবিধামত গড়ে তোলার পথ তৈরি করে দিয়েছে। তবে এই পথে সফল হতে হলে অবশ্যই কোনো একটি স্কিলে নিজেকে অনন্য করে তুলতে হবে।

এই স্কিল গুলোই একজন ফ্রিল্যান্সারের মূল হাতিয়ার। বর্তমানের ফ্রিল্যান্স জগতে বহু স্কিল রয়েছে যা নিয়ে নতুন কেউ এই ফ্রিল্যান্স দুনিয়ার নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। তবে যেই স্কিল নিয়েই শুরু হোক না কেনো, বাকিসব কাজের মত এখানেও নিজেকে পরিচিত করে তুলতে দরকার কিছু অসাধারন দক্ষতা।

ফ্রিল্যান্সিং যেমন ফ্লেক্সিবিলিটি দেয় তেমন এই কাজের চাপ এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা খুবই সাধারন ঘটনা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্স দুনিয়া নানান ধরনের স্কিল ও কাজ দিয়ে ঠাঁসা।

২০২৪ সালে এসে এমন হাজারো স্কিল রয়েছে যা শিখে আপনি এই ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব এমন কিছু স্কিল নিয়ে যা আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের সফলতা ছুয়ে দেখতে সাহায্য করবে।

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন স্কিল শিখে Dynamic হবেন

Web Developmentওয়েব ডেভেলপমেন্ট মানে ওয়েবসাইট এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা এবং  সেটার রক্ষণাবেক্ষণ করা। এই ফিল্ডে ওয়েব ডিজাইন, ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্ট (ক্লায়েন্ট-সাইড), ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সার্ভার-সাইড) এবং ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সহ বিভিন্ন দিক রয়েছে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে ফ্রিল্যান্সাররা কার্যকরী এবং দৃষ্টিনন্দন ওয়েবসাইট তৈরি করতে, ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়েবসাইট ব্যভার সহজ করে তোলা অর্থাৎ অপ্টিমাইজ করতে এবও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে পারবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতিযোগিতামূলক দুনিয়ায়, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট স্কিল প্রচুর সুযোগের বের করে দিবে। ক্লায়েন্টরা প্রায়শই ফ্রিল্যান্সারদের খোঁজ করে যারা তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী কাস্টম ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপ করতে পারে, তা হতে পারে কোনো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট বা কর্পোরেট সাইট। উপরন্তু, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট স্কিলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা ওয়েবসাইট রক্ষণাবেক্ষণ এবং সার্ভিসের কাজগুলো পেতে পারে, যা ক্লায়েন্টের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে। যেহেতু  বর্তমানের সব ব্যবসা নিজেদেরকে অনলাইনে নিয়ে আসছে, তাই ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে সাফল্যের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখা অমূল্য, যা তাদের জন্য একটি নতুন ক্যারিয়ারের রাস্তা গড়ে দেয়।

Video Editing

video editing freelancing online course
কোর্সে ভর্তি হতে ছবিতে ক্লিক করুন

ভিডিও এডিটিং মানে একটি ভিডিও ক্লিপকে নিজের চাহিদামত বিভিন্ন রুপ দেয়া এবং সুন্দরভাবে সেটি প্রেজেন্ট করা। ক্লিপ ছাঁটা এবং পুনর্বিন্যাস থেকে শুরু করে ইফেক্ট, ট্রাঞ্জিশন এবং সাউন্ড যোগ করার জন্য, ভিডিও এডিটিং এর স্কিল এবং সৃজনশীলতা উভয়ই প্রয়োজন। ভিডিও এডিটিং শিখে ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন ফিল্ডের জন্য আকর্ষনীয় ভিডিও তৈরি করতে পারবে যেমন মার্কেটিং, শিক্ষা, সোশাল মিডিয়া ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং জগতে, ভিডিও এডিটিং স্কিল বিভিন্ন প্রজেক্ট এবং পেশাদার-মানের ভিডিও  খুঁজছেন এমন ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার সুযোগ করে দেয়।

ভিডিও এডিটিং এ দক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা র ভিডিও থেকে পলিশড ভিডিও, ভিজ্যুয়াল এবং অডিও এর গুণমান উন্নত করা এবং ক্লায়েন্টদের চাহিদার সাথে মিলিয়ে ব্র্যান্ডিং ভিডিও তৈরি করতে পারে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জুড়ে ভিডিও কন্টেন্টের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে, ভিডিও এডিটিং আয়ত্ত করা একজন ফ্রিল্যান্সারের উপার্জন এবং সাফল্য বৃদ্ধি করতে পারে, এটি ফ্রিল্যান্সিং ল্যান্ডস্কেপে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য একটি মূল্যবান স্কিল।

Graphics Design    

graphics design graphics design course online couse
কোর্সে ভর্তি হতে ছবিতে ক্লিক করুন

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং মানে বিভিন্ন এলিমেন্ট যেমন টাইপোগ্রাফি, ছবি, কালার এবং কম্বিনেশন টেকনিকের মাধ্যমে একটি ভিজুয়াল কন্টেন্ট তৈরি করা যা দিয়ে কোনো ব্র্যান্ডের প্রমোশন অথবা নির্দিষ্ট কোনো মেসেজ মানুষের কাছে পৌছানো যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এ বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন, লগো ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং ম্যাটেরিয়ালস, প্যাকেজিং এবং ডিজিটাল ছবি তৈরি করা ইত্যাদি। এই স্কিল শেখার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন দিয়ে আইডিয়া শেয়ার করা, কন্টেন্ট তৈরি করা এবং ব্র্যান্ডের নিজস্ব পরিচয় গড়ে তোলতে পারে।

 

ফ্রিল্যান্সিং জগতে, গ্রাফিক্স ডিজাইনে এক্সপার্ট হয়ে উঠার মাধ্যমে ডিজিটাল প্রেজেন্ট বানাতে চায় এরকম বিভিন্ন কম্পানি, বিজনেস অথবা স্টার্টআপের সাথে কাজের সুযোগ বেড়ে যায়। এসব প্রতিষ্ঠানকে লগো থেকে শুরু করে মার্কেটিং, সোশাল মিডিয়ার জন্য ডিজিটাল কন্টেন্ট, প্যাকেজিং ডিজাইন ইত্যাদি সার্ভিস দিতে পারে এবং এসবের মাধ্যমে নিজের নেটওয়ার্ক বড় করে তোলা যায়। বর্তমানের এই ডিজিটাল দুনিয়ার, একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের প্রয়োজনীয়তা অনেক এবং এই ফিল্ডে স্কিল অর্জনের মাধ্যমে এসব সু্যোগ নিতে পারবেন। বিভিন্ন কম্পানির সাথে কাজ করার মাধ্যমে কমিউনিকেশন এবং নেটওয়ার্কিং এর মত সফট স্কিল গড়ে উঠবে যা আপনাকে বাকিদের থেকে আলাদা করবে এবং আশা করা যায় একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে।

Digital Marketing

digital marketing digital marketing course online course freelancing
কোর্সে ভর্তি হতে ছবিতে ক্লিক করুন

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং চ্যানেল ব্যবহার করে কোনো প্রডাক্ট প্রমোট করা, ডিজিটাল সার্ভিস দেয়া এবং ব্র্যান্ডদের কে কাস্টমারের সাথে কানেক্ট করাই একজন ডিজিটাল মার্কেটারের কাজ। এসব কাজের জন্য নানান রকম স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করতে হয় যেমন, search engine optimization (SEO), social media marketing, content marketing, email marketing, pay-per-click (PPC) advertising ইত্যাদি।ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার মাধ্যমে আপনি এরকম বিভিন্ন টেকনিক শিখবেন যা দিয়ে ডিজিটাল দুনিয়ায় টার্গেট কাস্টমারের কাছে আপনার প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দিতে পারবেন। অনলাইন জগতে নিজেদের মার্কেটিং করতে চাওয়া বিজনেসগুলোর কাছে একজন ডিজিটাল মার্কেটারের কোনো বিকল্প নেই। ওয়েব সাইট, সোশাল মিডিয়ার জন্য আকর্ষনীয় কন্টেন্ট বানানো, মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করা, ওয়েব সাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজ করা ইত্যাদি কাজগুলো একজন ডিজিটাল মার্কেটার করে থাকে। 

Social Media Management

বর্তমানে সোশাল মিডিয়া ব্যাতিত অনলাইন প্রেজেন্স কল্পনাও করা সম্ভব নয়। ছোট কোনো স্টার্ট আপ থেকে শুরু করে বড় বড় লিডিং ইন্ডাস্ট্রিগুলোরও নিজেদের সোশাল মিডিয়া একাউন্ট রয়েছে। বিজনেস ছাড়াও প্রায় সব সেলেব্রিটিদের কয়েকটা করে সোশাল মিডিয়া একাউন্ট থাকে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। এসব একাউন্ট বিজনেস বা পার্সোনালের গ্রোথের জন্য সহযোগিতা করে। তাই এসব দিকে নজর রাখা সবার জনই জরুরী হয়ে পড়েছে। এইসব কাজের জন্য একজন সোশাল মিডিয়া ম্যনেজমেন্ট এক্সপার্টের বিকল্প নেই।

সময়োপগী কন্টেন্ট বানানো, রেগুলার পোস্ট করা, এঙ্গেজমেন্ট বাড়ানো ইত্যাদি একজন সোশাল মিডিয়া পার্সনের কাজ। নিজেদের ব্র্যান্ডকে সবসময় ট্রেন্ডে রাখতে সোশাল মিডিয়াতে নিয়মিত নিজেদের প্রেজেন্ট করতে হয় এবং একজন সোশাল মিডিয়া ম্যানেজার সেইসব কাজগুলো করে থাকে। বিভিন্ন কম্পানি, বিজনেস এবং পার্সোনালিটির সাথে একত্রে কাজ করতে পারার মত সুযোগ থাকে এই ফিল্ডে এক্সপার্টদের। বর্তমানের ডিজিটাল দুনিয়ায় সোশাল মিডিয়া নেই এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। তাই ব্র্যান্ড প্রমোশন, মার্কেটিং এবং কাস্টমার এঙ্গেজমেন্ট এসব কাজ সব সোশাল মিডিয়া ভিত্তিক হয়ে থাকে। একজন সোশাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট হিসেবে কম্পানি, বিজনেস বা পার্সোনাল দের এসব কাজ গুলো দেখাশোনা করা এবং এই কাজের মাধ্যমে কতটুকু আউটপুট আসলো তা এনালাইসিস করে ভবিষতের জন্য নতুনভাবে প্ল্যান করা ইত্যাদি কাজ করতে হয়।

Mobile App Development – মোবাইল এপ বর্তমানে খুবই পরিচিত একটু প্রযুক্তি। স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ইত্যাদি ডিভাইসে যেকোনো কাজের জন্য এপের প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে মোবাইলে ছোট্ট একটা কল করা থেকে শুরু করে সোশাল মিডিয়া, ক্যামেরা, ভিডিও দেখা, মিউজিক শোনা ইত্যাদি ছোট বড় সব কাজের জন্য এপের ব্যবহার করা হয়। ইকমার্স ওয়েবসাইট, বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ওয়েবসাইট, গেইমস, রাইড শেয়ারিং কোম্পানি, এন্টারটেইমেন্ট ইত্যাদির বিজনেসগুলোর মূল অংশ এই মোবাইল এপ। মোবাইল এপ ডেভেলপারদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। । 

 

Web Design – একটি ওয়েবসাটকে আকর্ষনীয় এবং দৃষ্টিনন্দন করতে Web Development এর পাশাপাশি Web Design এ গুরত্ব দেয়া খুবই প্রয়োজন। Developer দের দাড় করানো ওয়েবসাইটের মূল কাঠামোর উপর একজন ওয়েব ডিজাইনারের ক্রিয়েটিভিটি এবং ডিজাইন সেন্স মিলে একটি সুন্দর, রেসপনসিভ এবং ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়। Development সেক্টরে যেরকম রক্ষণাবেক্ষনের দরকার হয় ঠিক তেমনি Design সেক্টরেও নিয়ম পরিচর্যা এবং উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অথবা নতুন কোনো স্কিল শেখার জন্য Web Design সবার সামনে একটি নতুন দোয়ার উন্মোচিত করেছে। এই ফিল্ডে নিজেকে দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ডিজাইন, পরিচর্যা এবং উন্নতি এব প্রজেক্ট পাওয়া এবং সেখান থেকে উপার্জন সম্ভব।

উপরে উল্লেখিত স্কিলগুলো ডেভেলপ করার মাধ্যমে একজন মানুষ নিজেকে ফ্রিল্যান্স জগতে সফলভাবে সেট করতে পারবে এবং ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারবে।

এই স্কীলগুলো ছাড়াও, ফ্রিল্যান্সারদের জন্যে আরও অনেক স্কীল আছে যেগুলো চাহিদা আছে। কিভাবে এই দক্ষতাগুলো শিখবেন?

এই দক্ষতাগুলো শিখতে আপনি বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করতে পারেন। আপনি অনলাইনে কোর্স করতে পারেন, বই পড়তে পারেন, বা কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। আপনার জন্যে সবচেয়ে ভালো উপায়টি খুঁজে বের করুন এবং সেই অনুযায়ী শিখতে শুরু করুন।

 

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে সফল হতে চাইলে এই দক্ষতাগুলো শিখতে ভুলবেন না। Clever Learner এর প্রত্যেক কোর্সে  অনেক ইনকাম টিপস দেওয়া হয় যা অনেকেরই অজানা। আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের Website/ পেইজে মেসেজ দিন

Clever Learner

Clever Learner

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Post Categoreis